প্রিন্সিপাল ডায়টেশিয়ান, এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা
তামান্না চৌধুরী, বাবা গোলাম মওলা চৌধুরী ও মা আশরাফা খানম চৌধুরীর তিন সন্তানের প্রথম সন্তান তিনি। ঢাকা মতিঝিল আইডিয়াল হাই স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি আর বাবার চাকরি সুবাদে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে অনার্স—মাস্টার্স শেষ করেন। মাস্টার্সে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমপিএইচ এবং প্রোজেক্ট হোপ যুক্তরাষ্ট্র সেন্টার (কলকাতা) থেকে ডায়াবেটিক এডুকেশনে পিজিডিএম ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের অ্যাপোলো গ্লিনাগেলস হসপিটালস কলকাতায় ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন। তিনি ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে স্পেশাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ও পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
তামান্না চৌধুরী ২০০৫ সাল থেকে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকাতে ডায়টেটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিউট্রিশন, ডায়াবেটিস, অনকোলজি, রেনাল পুষ্টি, শিশু ও অটিজম পুষ্টি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর বেশি মনোনিবেশ করেন।
তিনি ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সম্মেলন/সেমিনার/কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং সাতবার আন্তর্জাতিক কেস প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। অতিথি বক্তা হিসেবে তিনি শতাধিক স্থানীয় ও বহুজাতিক করপোরেট হাউসে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
টিম লিডার হিসেবে ইএসপিএন অস্টে্রলিয়া থেকে তিনি চারবারেরও বেশি ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন সার্ভে সার্টিফিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক নিউজ পোর্টাল ও জাতীয় দৈনিকে তার প্রকাশিত নিবন্ধের সংখ্যা ৬০০+।
তামান্না চৌধুরী ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর প্যারেন্টেলার অ্যান্ড এন্টেরাল নিউট্রিশন (আইএপিইএন)—এর আঞ্চলিক সম্পাদক (বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ পুষ্টি ও ডায়টেটিকস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক।
প্রফেশনাল ও পারিবারিক কারনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, অস্টে্রলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
তিনি ২০১৪—তে বাংলাদেশ নাট্যসভা হতে পুষ্টি বিষয়ে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান। সি এম ও বাংলাদেশ ওমেন লিডারস অ্যাওয়ার্ড পান ২০১৮ সালে।
প্রতিশ্রম্নতিশীল এই পুষ্টিবিদ মানব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।